বীণা কি গাহিতে জানে গান ।
বীণাপাণি বীণার তারে না ধরালে তান ।
ভাব কি লো সই আপনি ফুটে, ঢেউয়ের চোটে উথলে উঠে ।
না গেলে পর প্রাণ ছুটে, ধরা কি দেয় প্রাণ ।।
বাজরে বাজরে বীণা, সুরতান লয় মুর্চ্ছনা
চতুরঙ্গ খেয়াল টপ্পা, করিয়ে সন্ধান ।।
ঝঙ্কারিয়ে তব তার, জয়দেব তুলসী আর
তানসেন ব্রজবাউরা, সুরদাস জ্ঞান
হৃদিপদ্ম ফুটাইয়ে, গিয়েছে মধু লুটিয়ে
ভববন্ধন কাটিয়ে যত অমর সন্তান ।
সাধ্য ছাড়া সাধ লয়ে, আমিও এসেছি ধেয়ে
বীণাপাণি এ হৃদয়ে হয়ে অধিষ্ঠান
তোমার বীণা তুমি করে, লয়ে বাজাও দয়া করে
মধুর মধু ঝঙ্কারে, মোহ করি প্রাণ ।
নির্গুণ হইলে ছেলে, মা কি দেয় কোল হতে ফেলে
মনোমোহন তাই বলে সুর তাল মান
যদিও না আছে বশে, মত্ত হয়ে তবুও সে
বীণার তার মেজে ঘষে আরম্ভিলো গান ।
চাপলে কি রয় মুখের হাসি, আপনি বাজে ভাবের বাঁশি
প্রাণ উদাসী তাইতো আসি, মান অপমান
মদ মাতালে মন মাতালে, ধরতে নারে কোন কালে
ঢেউয়ের তালে তারা খেলে, ভাটি আর উজান ।।