বাহিয়ে তরণী সকাল বেলা
তোমার কাছে যেতে, অনুকূল হাওয়াতে, স্রোতে করেছিনু মেলা ।
ঘোর ঘূর্ণিপাকে পরিয়ে পথে, পথ ভুলে গিয়ে আঁধার রেতে
দূরে গেছি সরে, প্রহারে প্রহারে, জীর্ণ শীর্ণ ভেলা ।
অকূল পাথারে না দেখি কিনার, দৃষ্টি নাহি চলে ঘোর অন্ধকার
উলটি পালটি সাপটি তরঙ্গ, করিতেছে রঙ্গ খেলা ।
হাঙ্গর কুম্ভীর হিংস্র জন্তুগণে, ধেয়ে তারা আসে ধেয়ে আমার পানে
কোথায় যাবো বলে কোথায় যাচ্ছি চলে, অকূলে আমি একলা ।
উজান ভাটি ঢেউয়ে খেলিয়ে তরী, কোথায় জানি যায় বুঝিতে নারি
হে ভবকাণ্ডারী দীনহীন তোমারই, ভাবিয়ে অতি উতালা ।
দেউটি জ্বালিয়ে তুমি দয়া করি, এসময় হরি লও তালাস করি
তোমার মেষপাল তুমিহে রাখাল, হলে পরে সন্ধ্যাবেলা
কে কোথায় ছুটিয়ে গিয়াছে দূরে, নিতে হবে তোমার অন্বেষণ করে
তাই আছি পড়ে, তোমার নাম ধরে, ভুলোনা এ পথভুলা ।।